দুটি শক্তিশালী ইলেকট্রিক মোটরের সমন্বয়ে তৈরি, Mercedes-Maybach EQS 680 গাড়িটি ৬৫৮ হর্সপাওয়ার এবং ৯৫০ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। এটি ০ থেকে ১০০ কিমি/ঘণ্টা গতি তুলতে সময় নেয় মাত্র ৪.৪ সেকেন্ড। Mercedes-Benz Bangladesh আনুষ্ঠানিকভাবে ৩ মে তারিখে RANGS Babylonia শোরুমে তাদের সর্বাধুনিক ও বিলাসবহুল অল-ইলেকট্রিক এসইউভি, Mercedes-Maybach EQS 680 উন্মোচন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, সাংবাদিক ও লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সাররা, যারা এই ইভেন্টে উচ্চমানের ইলেকট্রিক গাড়ির ভবিষ্যতের ঝলক দেখার সুযোগ পান।
গাড়িটিতে রয়েছে ১১৮ কিলোওয়াট ঘণ্টার ব্যাটারি, যা একবার চার্জে ৬০০ কিমি-র বেশি পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। ব্যাটারির জন্য থাকছে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি। এটি নীরব, দ্রুতগামী এবং বিলাসবহুলতায় মোড়ানো এক অভিজ্ঞতা। Mercedes-Benz Bangladesh-এর ডিভিশনাল ডিরেক্টর ইমরান জামান জানান, “আমাদের প্রায় ১৫টি EQS 680 ইউনিট বাংলাদেশে আসার পথে রয়েছে।” উন্মোচন করা মডেলগুলো ছিল এক্সক্লুসিভ ‘নাইট এডিশন’ সংস্করণ, যাতে ছিল Obsidian Black রঙের বডি, ডার্ক ক্রোম অ্যাকসেন্ট, Maybach লোগো সম্বলিত হুইল এবং আকর্ষণীয় সাদা-কালো নাপ্পা লেদার ইন্টেরিয়র।
গত বছর উন্মোচিত স্ট্যান্ডার্ড Mercedes-Benz EQS SUV থেকে এই Maybach EQS যথেষ্ট ভিন্ন। উন্নত সাসপেনশন, শব্দনিরোধক ব্যবস্থা, এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ রিয়ার সিট এবং বিশেষায়িত ট্রিম—সব মিলিয়ে এটি এমন এক অভিজ্ঞতা প্রদান করে যা মূলত তাদের জন্য, যারা শান্তিতে ও আরামদায়কভাবে চালকের আসনের বদলে পেছনের সিটে বসতে পছন্দ করেন।
তবে হস্তনির্মিত V12 Maybach থেকে পুরোপুরি ইলেকট্রিক SUV-তে রূপান্তর একটি দর্শনের পরিবর্তনের প্রতীক। নতুন এই Maybach গাড়িটি ব্র্যান্ডিংয়ের দিক থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে—বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ডিজাইনে চোখে পড়ার মতোভাবে লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। ওপেন-পোর কাঠ বা ধাতব সুইচের মতো ঐতিহ্যবাহী উপাদানের পরিবর্তে স্ক্রিন-কেন্দ্রিক ডিজাইন কিছু পুরনো Maybach প্রেমীদের কাছে আবেদন হারাতে পারে, যারা টাইমলেস কারিগরি সৌন্দর্যকে বেশি মূল্য দেন।
তবুও, EQS 680 হলো এক সাহসী পদক্ষেপের প্রতীক। এটি অত্যাধুনিক, শান্তিপূর্ণ, এবং নিঃসন্দেহে একটি Maybach—শুধু আধুনিক বৈদ্যুতিক যুগের উপযোগী করে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এর মূল্য শুরু হয়েছে ৩.৯০ কোটি টাকা থেকে এবং বিভিন্ন অপশন অনুযায়ী তা বেড়ে ৪.৭০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।